করোনার তৃতীয় ঢেউ, স্বাস্থ্যযোদ্ধার সঙ্কট ও ডাঃ দেবী শেঠীর পরামর্শ

ড. মিহির কান্তি মজুমদার

রোগের নাম কোভিড-১৯। কিন্তু এ রোগ বেশি পরিচিতি পেয়েছে এর ভাইরাস- করোনার নামে। দাবানলের ন্যায় এ ভাইরাসের সংক্রমণ তথা ঢেউ সারা পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে প্রায় একই সময়ে। কোন প্রস্তুতির সুযোগ নেই। শুধু সংক্রমণ আর মৃত্যু। এর আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য শুরু হয়েছে যুদ্ধ। শুধু যুদ্ধ বললে ভুল হবে, মহাযুদ্ধ বলাই যৌক্তিক, যা বিশ্বযুদ্ধের চেয়ে অনেক বেশি ব্যাপক। মানুষ প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা ও মৃত্যু দেখেছে। কিন্তু সে যুদ্ধ ছিল কতিপয় দেশের মধ্যে সীমিত। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের এতে কোন অংশগ্রহণ ছিল না, তবে জবরদখল ও নিগ্রহের শিকার হয়েছে অনেক দেশ। কিন্তু করোনার থাবা থেকে বিশ্বের কোন দেশ রেহাই পায়নি।আর প্রস্তুতিবিহীন যুদ্ধে সঙ্কট তো থাকবেই। তাই প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে সঙ্কট। পিপিই, মাস্ক, হাসপাতালের বেড, ওষুধ, টিকা, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ সব কিছুতে সঙ্কট। আইসিইউর সর্বক্ষণিক সঙ্কটের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সঙ্কট অক্সিজেন এবং সর্বশেষ টিকা। টিকা আবিষ্কার ও প্রয়োগ শুরু হয়েছে, কিন্তু উন্নয়নশীল দেশের মানুষের সামর্থ্যরে মধ্যে নেই। ওষুধ তো ছিল না এবং এখনও নেই।

চিকিৎসার জন্য প্রয়োগ হচ্ছে ইভারমেকটিন, রেমডিসিডির, এ্যান্টিবায়োটিক এজিথ্রোমাইসিন বা ডক্সিসাইক্লিন, ক্লোরোকুইন, ভিটামিন-ডি, সি এবং অন্যান্য ওষুধ। এগুলো আবিষ্কার হয়েছে অনেক আগে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য। এখন প্রয়োগ করা হচ্ছে করোনাসৃষ্ট বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিরসনে। একে বলা হয় রিপারপাজিং- অর্থাৎ যে রোগের চিকিৎসার জন্য তৈরি হয়েছে, অন্য রোগের চিকিৎসায় তার পরীক্ষামূলক ব্যবহার। ফাইজার করোনার ওষুধ উদ্ভাবন করেছে বলে জানা গেছে, তবে তা বাজারে আসতে সময় লাগবে। এখন চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, যার সংক্রমণ ক্ষমতা প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে অনেক বেশি তীব্র ও মারণঘাতী। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী শীতের শুরুতেই তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানবে। তখন করোনাস্বাস্থ্যযোদ্ধা তথা চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্টদের সঙ্কট তৈরি হবে বলে ডাঃ দেবী শেঠী আশঙ্কা করেছেন এবং এজন্য তিনি কিছু প্রস্তাব পেশ করেছেন।

ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠী, যিনি ডাঃ দেবী শেঠী নামে বিখ্যাত এবং কিংবদন্তি হার্ট সার্জন হিসেবে পরিচিত। বিশ্বে প্রথম সারির দক্ষ হার্ট সার্জন হিসেবে তার যেমন সুখ্যাতি আছে, তেমনি তার মানবিক গুণাবলী এ দক্ষতাকেও ছাড়িয়ে গেছে। কাজেই ডাঃ দেবী শেঠীর পরামর্শ জানলে তা পড়ার ইচ্ছা জাগে। প্রায় ৫০ বছর পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার হার্ট সার্জন ক্রিশ্চিয়ান বার্নার্ড কর্তৃক প্রথম হার্ট প্রতিস্থাপনের সংবাদ সারা পৃথিবীতে সম্ভাবনা ও আলোড়ন সৃষ্টি করে। স্কুলের ছাত্র থাকাকালে এ সংবাদই ডাঃ শেঠীকে হার্ট সার্জন হতে অনুপ্রাণিত করে। সে লক্ষ্যে তিনি মহীশুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কস্তুরবা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং একই মেডিক্যাল কলেজ থেকে জেনারেল সার্জারিতে এমএস ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর লন্ডনের Guy’s Hospital-এ হার্ট সার্জারিতে প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি তিনি লন্ডনের প্রখ্যাত রয়্যাল কলেজ অব সার্জন’স থেকে এফআরসিএস ফেলোশিপ অর্জন করেন। হার্ট সার্জারির দক্ষতা অর্জনের পর কীভাবে স্বল্প খরচে নিজ দেশে এ জটিল অপারেশন করা যায়, সেজন্য তিনি কলকাতায় এসে বিড়লা গ্রুপের সঙ্গে বিড়লা হার্ট হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। এর পরে তিনি কর্ণাটকের বেঙ্গালোরে নারায়ণা হৃদয়ালয় নামে হাসপাতাল তৈরি করেন, যা এখন নারায়ণা হাসপাতাল নামে ২১টি চেন হাসপাতাল হিসেবে সারা ভারতে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি এ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী। এ হাসপাতালে এখন ৯০ হাজার ভারতীয় রুপীতে হার্ট অপারেশন করা হয়। এ খরচ তিনি ৮০০ মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছেন, বাংলাদেশী মুদ্রায় যা কমবেশি ৬৮০০০ টাকার সমান।

ডাঃ দেবী শেঠীর লক্ষ্য হচ্ছে- কম খরচে দক্ষ চিকিৎসক তৈরি করা ও চিকিৎসাসেবা দেয়া। তার হাসপাতালে নির্দেশনা দেয়া আছে- ‘টাকা না থাকলেও কোন রোগীকে যেন বিনা চিকিৎসায় ফেরত না দেয়া হয়’। ডাঃ শেঠীর মতে, ককেশীয় এলাকার মানুষের চেয়ে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে হার্টের রোগ জেনেটিকভাবে ৩ গুণ বেশি। সঙ্গে আছে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ, ব্যায়াম না করা, ধূমপান করা, ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার ইত্যাদি অনুষঙ্গ। ভারতে প্রতিবছর ২০ লাখ লোকের হার্ট অপারেশনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু অর্থ ও অন্যান্য সুবিধার অভাবে মাত্র ১,২০,০০০ জনের হার্ট অপারেশন হয়। অবশিষ্ট ১৮,৮০,০০০ রোগী বিনা অপারেশনে ধীরে ধীরে অকালে মারা যায়। ডাঃ শেঠীর ভাষায়- এটা কোন গ্রহণযোগ্য চিকিৎসা ব্যবস্থা নয়। জনগণের যদি কোন সমাধান গ্রহণের সামর্থ্যই না থাকে, তবে সে সমাধান প্রকৃতপক্ষে সমাধানই নয়। আর্থিক সঙ্কটের কারণে হার্টের অপারেশন ও অন্যান্য জটিল রোগে বহু মানুষ মারা যায়। এ সমস্যা সমাধানে তিনি কর্ণাটক সরকারের মাধ্যমে ২০০৩ সালে সূচনা করেন যশোশ্বিনী স্বাস্থ্য বীমা। মাসিক মাত্র ১০ রুপীর বিনিময়ে রাজ্যের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ এ বীমার মাধ্যমে হার্ট অপারেশনসহ জটিল অপারেশন ও অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন। যশোশ্বিনী স্বাস্থ্য বীমার সফলতা পরবর্তীতে তামিলনাড়–সহ ভারতের অনেক রাজ্যে সম্প্রসারিত হয়েছে।

সম্প্রতি এক আলোচনায় ডাঃ দেবী শেঠী করোনার বর্তমান ঢেউ ও তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলায় চিকিৎসক, নার্স ও মেডিক্যাল টেকনোজিস্টের স্বল্পতা ও সম্ভাব্য সঙ্কটের চিত্র উপস্থাপন এবং তা নিরসনে কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রস্তাবটি ভারতের জন্য দেয়া হলেও বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য হতে পারে। কারণ করোনার সংক্রমণের তীব্রতা এবং এসব দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় কাছাকাছি বিধায় এ সম্ভাব্য সঙ্কটের বিষয়ে নিজ নিজ দেশের প্রেক্ষাপটে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যৌক্তিক হবে। ডা. শেঠী মনে করেন যে, করোনার তৃতীয় ঢেউ ও পরবর্তী অবস্থা মোকাবেলায় যে সঙ্কট প্রকট হবে, তা হচ্ছে- চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টসহ স্বাস্থ্য করোনা যোদ্ধার স্বল্পতা। করোনাযোদ্ধার প্রথম সারির মধ্যে সর্বাগ্রে আছে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী। তার মতে, করোনার আগামী ঢেউ মোকাবেলায় ভারতের আরও প্রায় ১.৫০ লাখ চিকিৎসক ও ২ লাখ নার্সের প্রয়োজন হবে। করোনা আক্রান্ত রোগীর জটিলতা ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন ঘটে এবং হঠাৎ করেই রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। কাজেই করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা ও নজরদারি বেশ জটিল। সে কারণে করোনাযুদ্ধে নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী দৈনিক ৪ বা ৫ ঘণ্টার বেশি যথাযথভাবে ডিউটি করতে পারেন না। বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় তারা আজ প্রায় ক্লান্ত। আক্রান্ত হয়েছেন হাজার হাজার, মারা গেছেন অনেক। এটি একটি মহাযুদ্ধ এবং যে কোন যুদ্ধে তরুণরাই যুদ্ধ জয়ে ভাল ভূমিকা রাখতে পারেন। ডাঃ শেঠীর মতে, ভারতে ২.২০ লাখ নার্স ডিপ্লোমা ও বিএসসি নার্সিং সম্প্রতি শেষ করেছেন এবং ১.২০ লাখ নতুন পাস করা চিকিৎসক বাসায় বা কলেজের লাইব্রেরিতে বসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রীতে ভর্তি হওয়ার জন্য Multiple Choice-এর প্রশ্নোত্তরের তালিম নিচ্ছেন। কাজেই তিনি শিগগিরই অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া চিকিৎসক ব্যতীত অপর লক্ষাধিক চিকিৎসক এবং যারা এখনও কোন কর্মে নিয়োগ হননি এমন চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানদের করোনা হাসপাতালে ডিউটির জন্য আমন্ত্রণের প্রস্তাব করেন। এভাবে যারা ভলান্টিয়ার হিসেবে সন্তোষজনকভাবে এক বছর দায়িত্ব পালন করবেন তাদের সনদ দেয়া এবং ভবিষ্যতে চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া এবং স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তির জন্য অতিরিক্ত নম্বর প্রদানের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। ডাঃ শেঠীর প্রস্তাব অনুযায়ী চিকিৎসক, নার্স বা টেকনোলজিস্ট যারা শেষ বর্ষে অধ্যয়ন করছেন, তাদের করোনা হাসপাতালে সন্তোষজনকভাবে এক বছর দায়িত্ব পালন করলে সংশ্লিষ্ট ডিগ্রী/ডিপ্লোমা পাস করার সনদ প্রদান করা যেতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে একই সৈন্য নিয়ে যুদ্ধ করা যায় না। এ কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত সৈনিকদের বাধার মুখে মহাবীর আলেকজান্ডারকে ভারত জয়ের আশা ত্যাগ করে পিছু হঠতে হয়েছিল এবং পথিমধ্যে তার অকালমৃত্যু হয়। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম সিলেট মেডিক্যাল কলেজের একজন চিকিৎসক এবং একজন নার্সের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্য করোনাযোদ্ধাদের মৃত্যুর ট্র্যাজেডি শুরু হয়। এ পর্যন্ত ২৫ নার্স ও ১৫৬ চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজারের বেশি স্বাস্থ্য করোনাযোদ্ধা এ বৈশ্বিক মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত অন্যান্য বাহিনী, জরুরী সেবা, সাংবাদিক- এসব সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধার মধ্যেও হাজার হাজার আক্রান্ত হয়েছেন এবং অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। বাংলাদেশের যেসব চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন তার মধ্যে তরুণ চিকিৎসকের সংখ্যা কম। কারণ তাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। এর সঙ্গে টিকা দিলে এসব তরুণ চিকিৎসক, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা আক্রান্তের হার ও মৃত্যু হার অনেক নেমে যাবে বা মৃত্যু হার প্রায় থাকবে না। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে চিকিৎসকের পদ আছে ৩১,৯১৮, সাব-এ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারের (SACMO) পদ ৫,৩৪২, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের পদ ৫,৮১৯ এবং নার্সের পদ ৪০৭৪৭টি। এর মধ্যে শূন্যপদের সংখ্যা- চিকিৎসক ৪,৪৫০, ঝঅঈগঙ ২,৬৪১, নার্স ৪৬৭৩ এবং মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ২৫৭৩টি। বাংলাদেশ নার্সেস এ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, দেশের বেসরকারী হাসপাতালে প্রায় ২৭০০০ নার্স কাজ করছেন এবং সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে ১৪০০০-এর বেশি নার্স করোনা রোগীর সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কাজেই চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের বিদ্যমান শূন্যপদ পূরণের পাশাপাশি করোনার চলমান দ্বিতীয় ঢেউ, তৃতীয় ঢেউ এবং পরবর্তী অবস্থা মোকাবেলার জন্য আরও চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর পদ সৃজন ও নিয়োগ করা যেতে পারে। যুদ্ধের সময় পরীক্ষা নিয়ে যোদ্ধা নিয়োগের সুযোগ থাকে না। সে প্রেক্ষাপটে এ যুদ্ধের সময় বিসিএস-এর মাধ্যমে চিকিৎসক নিয়োগে বা স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ভর্তির জন্য লাইব্রেরি বা বাসায় বসে Multiple Choice-এর প্রশ্নোত্তর মুখস্থ করার বিদ্যমান পদ্ধতি পরিহার করাই যৌক্তিক। বরং ডাঃ শেঠীর প্রস্তাবনা অনুযায়ী বাংলাদেশেও চিকিৎসক, নার্স ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের শূন্যপদ পূরণে আগ্রহী প্রার্থীদের করোনা হাসপাতালে সেবামূলক ডিউটি প্রদানের আহ্বান জানানো এবং এ জন্য আর্থিক সম্মানী প্রদান করা যেতে পারে। এক বছর সন্তোষজনক ডিউটির সনদপ্রাপ্তদের পরবর্তীতে শূন্যপদে নিয়োগে অগ্রাধিকার প্রদান ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ভর্তির জন্য ১ বা ২ বছর বিশেষ সুবিধা বা কোটা সংরক্ষণ করা যেতে পারে। তেমনি শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত চিকিৎসক, নার্স ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের এক বছর করোনা হাসপাতালে সন্তোষজনক ডিউটিকে পাঠক্রমের অংশ বিবেচনা করে তাদের পাস করানোর ব্যবস্থা করা যায়। প্রস্তাবটি মানবিক ডাঃ দেবী শেঠীর এবং তা ভারতের জন্য; তবে আমাদের স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রশাসনিক ও একাডেমিক নীতি নির্ধারকগণ এ সম্ভাব্য সঙ্কটের তথ্য নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।