ইউকে প্রতিনিধিদলের উদ্দীপন কার্যালয় পরিদর্শন

ব্রিটিশের (ইউকে) উচ্চ পদস্থ তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি সংস্থা উদ্দীপনের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেন। একই সঙ্গে প্রস্তাবিত উদ্দীপন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ভাকুর্তা প্রকল্প-১ পরিদর্শন করেন তারা।
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে উদ্দীপন জানায়, সকালে ইউকে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা রাজধানীর প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনে এলে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী কনভেনশন সেন্টারে উদ্দীপনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য তুলে ধরেন চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদার ও নির্বাহী পরিচালক ও সিইও বিদ্যুত কুমার বসু।
ইউকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন—সাবেক মন্ত্রী ও এমপি এবং মেম্বার অব প্রিভি কাউন্সিল ইউকে দ্য রাইট অনারেবল নরম্যান জে বেকার, ম্যানেজার অব সোশ্যাল কেয়ার, এনএইচএস-এলবিটিএইচ, ইউকে নাসিম আহমেদ এবং ইন্টারন্যাশনাল লিয়াজোঁ অফিসার, দ্য ফিউচার লিডার্স লিমিটেড, ইউকে ইলেস হুসেইন।
এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন উদ্দীপনের চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদার, ইমেরিটাস চেয়ারম্যান শহীদ হোসেন তালুকদার, আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা নাজির আলম ও উদ্দীপন গভর্নেন্সের সদস্যরা।
বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রগতির লক্ষ্যে ‘স্বাস্থ্য আপা’ সৃজন এবং উদ্দীপন-প্রোব হেলথকেয়ার কী ধরনের সেবা প্রদান করছে, সে বিষয়ে তাদের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশের বিশাল একটি জনগোষ্ঠী তাদের অজান্তেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতাসহ বিভিন্ন রোগে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে। বিশাল জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্যগত দিকে একেবারেই অসচেতন। তাদের সচেতন করাই মূলত এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।

উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্তের পরিসংখ্যান দেখে ইউকে সদস্যরা বিস্ময় প্রকাশ এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয়ে মানবসেবা করায় উদ্দীপনের প্রশংসা করেন তারা।
স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সম্প্রতি চালু করা হয়েছে ‘পল্লী অ্যাম্বুলেন্স’। এটিও তাদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
পরবর্তীতে উদ্দীপনের নার্সারি ও পাখিপল্লী প্রকল্প বিষয়ে উপস্থাপন করা হয়। মূলত বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে উদ্দীপন দূষণমুক্ত পরিবেশ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এছাড়া, দুর্গম পাহাড়ে বন সৃজন এবং পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নারীদের স্বাবলম্বী করতে বাংলাদেশের এনজিও সেক্টরের ইতিহাসে সর্বপ্রথম উদ্দীপনের আরও একটি নতুন উদ্যোগ ‘সিড বল প্ল্যান্টেশন’।
উদ্দীপনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও কর্মপরিকল্পনার উপস্থাপনা নিয়ে প্রশংসা করেন। অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সেবায় নারীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা হয় এটি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
দুপুরে ভাকুর্তা প্রকল্প-২ (সাভার) পরিদর্শন শেষে প্রস্তাবিত ‘উদ্দীপন বিশ্ববিদ্যালয়’ ক্যাম্পাস ভাকুর্তা প্রকল্প-১ পরিদর্শন করেন তারা। পরিদর্শন শেষে উদ্দীপন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলক উন্মোচন করেন সাবেক মন্ত্রী ও এমপি এবং মেম্বার অব প্রিভি কাউন্সিল ইউকে দ্য রাইট অনারেবল নরম্যান জে বেকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ এবং ভবনের প্রেসিডেন্ট স্যুট ঘুরে দেখেন ইউকে সদস্যরা। তার আগে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রাজধানীর মহাখালীতে ইউনিভার্সেল নার্সিং কলেজ পরিদর্শন এবং একটি সভায় অংশগ্রহণ করে।
উদ্দীপনের পর্ষদ সদস্য ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা নাজির আলমের নেতৃত্বে ইউকে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা পরিদর্শন করেন।