উদ্দীপন এর সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
- ৩৭ বছর ধরে সুবিধাবঞ্চিতদের সেবা প্রদান করছে।
- বর্তমানে এনজিওর সর্বশ্রেষ্ঠ অনুশীলন বা চর্চা, সরকারি সেবার উৎকর্ষতা এবং কর্পোরেট নিয়ন্ত্রণকে সমন্বয় করে পরবর্তী প্রজন্মের উন্নয়ন সংস্থায় রূপান্তরিত হচ্ছে।
- প্রাথমিকভাবে নারী সদস্যদের এবং তার মাধ্যমে পরিবারের বাকি সদস্যদের সক্ষম করার জন্য আর্থিক কর্মসূচি ভিত্তিক সুবিধা প্রদান এবং অর্জিত উদ্বৃত্ত সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে পুনঃবিনিয়োগের মাধ্যমে সমাজ ও মানুষের স্থায়ী উন্নয়নে কাজ করছে।
- কর্পোরেট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এবং নিজস্ব অর্থায়নে স্বাবলম্বী হয়ে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে উন্নয়ন সংস্থার প্রতি আকৃষ্ট করছে এবং দেশ ও বিদেশে সেবার নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করছে।
- গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ানো ও তাদের সদস্যপদে আনার ক্ষেত্রে কাজ করছে।
- মে, ২০২৩ সালে ৬৪ টি জেলায় উদ্দীপনের ৯৪৪ টি শাখা সম্প্রসারিত হয়েছে।
- বাংলাদেশের সাথে সাথে মাইক্রো ক্রেডিট, এন্টারপ্রাইজের বিকাশ, প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ মানব সম্পদ আদান প্রদানের মাধ্যমে আফ্রিকার জনগণের জন্য টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে।
- এ পর্যায়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীসমূহ যে সমস্ত দেশে শান্তিরক্ষায় অবদান রেখেছে সেখানে কাজ করার জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে অংশীদারিত্বের আলোচনা চলছে।
১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে উদ্দীপন তার উপকারভোগীদের প্রয়োজনীয়তা ও সামাজিক চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কৌশলগত পরিবর্তণের মাধ্যমে অগ্রগতি অর্জন করে যাচ্ছে। উদ্দীপন বাংলাদেশের শীর্ষ দশটি বৃহত্তম বেসরকারী জাতীয় উন্নয়ন সংস্থার একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। উদ্দীপন বর্তমানে ৬৪ টি জেলার ৪৬৫ টি উপজেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বহু-মাত্রিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে ও সামাজিকভাবে শোষিত এবং অধিকার বঞ্চিত দরিদ্র ও চরম দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে, নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
উদ্দীপন তার কর্মসূচিসমূহ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উপকারভোগীদের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক চাহিদা পূরণ এবং তাদের অধিকার এবং ক্ষমতায়নের বিষয়টি সর্বক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। যার ফলে তাদের অর্থনৈতিক বিনিয়োগ ও উন্নতি, দারিদ্রের কড়াল গ্রাস থেকে বেরিয়ে আসা এবং অন্যদিকে শিক্ষার ক্ষেত্রে মনোযোগী হওয়ার ব্যাপক আগ্রহ তৈরী হয়। স্বাস্থ্য সেবা, সুপেয় পানি, স্যানিটেশন, কৃষি এবং অধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং তাদের সামাজিক অবস্থার উন্নতি এবং সামাজিক মূলধারায় নিজেকে সম্পৃক্ত করার দক্ষতা তৈরীতে সহায়তা করে। উদ্দীপন সেই সকল প্রবীন নাগরিকদের জন্যও কাজ করছে যারা সামাজিক ও পারিবারিকভাবে উপেক্ষিত, অবহেলিত ও নির্যাতিত। উদ্দীপন প্রবীন জনগোষ্ঠীকে আয়বর্ধণমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত করা, তাদের বিনোদন, পারস্পরিক ভাববিনিময়ের মাধ্যমে মানসিক শাস্তি ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। সংক্ষেপে বলা যায়, উদ্দীপন দারিদ্রতার বহুমূখী সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা, তাদের সুপ্ত সম্ভাবনাগুলি কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সমস্যাকে সমন্বিত প্রক্রিয়ায় সমাধান করে থাকে।
উদ্দীপন জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং সুশাসনের ভিত্তিতে আদর্শ এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধি, নেটওয়ার্কি, এডভোকেসিসহ এসম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে দৃশ্যমান এবং কার্যকরীভাবে জড়িত। উদ্দীপন তার নিজস্ব নীতি, আদর্শ এবং মূল্যবোধকে সামনে রেখে ও জাতীয় লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তার কর্মসূচীগুলো পরিচালনা এবং বাস্তবায়ণ করে থাকে।
ভিশন:
পরিবেশগতভাবে ভারসাম্যপূর্ণ, শোষণ ও বৈষম্যহীন একটি দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ যেখানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শিশু, নারী, পুরুষ ও প্রতিবন্ধী সমমর্যদায় সম্মানের সাথে বাস করবে।
মিশন:
আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন, সংগঠন সৃষ্টি ও নেতৃত্ব উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম ও কার্যকর প্রযুক্তি বিকাশ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দক্ষ উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও মানব সম্পদ উন্নয়ন।
